আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কর্তৃক ১১ সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে রংপুরের মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (আরএমএমসি) মানহাণির পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে পিআইও নুরুন্নবী সরকার বাদী হয়ে আরএমএমসি’তে পৃথক মামলা ২টির আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত বিবেচনান্তে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার পরিবর্তে রংপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেন। পৃথম মামলা ২টির প্রথমটির আসামীরা হলেন দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক- এমদাদুল হক মিলন, বার্তা সম্পাদক- খায়রুল বাশার শামীম, মফস্বল ইনচার্জ- সাবেক আহমেদ সজল, স্থানীয় প্রতিনিধি- শেখ মামুনুর রশিদ, দৈনিক পরিবেশের স্থানীয় প্রতিনিধি- শফিকুল ইসলাম অবুঝ ও ভোরের দর্পনের সামছুল হক। অপর মামলার অসামীরা হলেন, যমুনা টিভি’র চীফ নিউজ এডিটর- ফাহিম আহমেদ, মফস্বল ডেস্ক ইনচার্জ- আহসানুল করিম আসিফ, জেলা প্রতিনিধি- জিল্লুর রহমান পলাশ, বক্তব্যদাতা- জনৈক মাহবুর রহমান খাঁন, দৈনিক চাঁদনী বাজার’র স্থানীয় প্রতিনিধি- আবু জায়েদ কারী, জনসংকেত’র রাশেদুল আলম। মামলার বাদী উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার বা প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ করায় বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। যা কোনভাবেই পূরণ যোগ্য নয়। এসব সংবাদের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত টিম তদন্ত পূর্বক যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তাতে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। পৃথক এ ২ মামলার আসামীদের মধ্যে একাধিক আসামী বলেন, ইতোমধ্যে পিআইও নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হওয়ায় তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র গণমাধ্যমকর্মী মতামত দিয়ে বলেন, যেমন কোন অনিয়ম-দূর্নীতি কোনভাবেই কাম্য নয়। তেমনি বস্তুনিষ্ঠ তথ্য-উপাত্ত ছাড়া সংবাদ পরিবেশনের ব্যাপারেও বিধি-বিধান অনুসরণ করা দরকার গণমাধ্যম কর্মীদের।
রংপুরের পিবিআই সূত্র জানিয়েছে, এখনো এ সংক্রান্ত মামলার কোন নথি-পত্র পাওয়া যায়নি।